মঙ্গলবার রাতে (১১ই আগষ্ট) একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হিংসা ছড়ায় ব্যাঙ্গালুরুতে। পোস্টটিতে ইসলামের প্রবর্তকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কিছু কথা লেখা আছে বলে অভিযোগ। নবীন নামের যার পোস্টকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে সে কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাগ্নে। পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরার পরেই হাজার খানেক উশৃঙ্খল মুসলিম জনতা কংগ্রেস বিধায়কের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করে। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা বিধায়কের বাড়ি ভাঙচুর করার লক্ষ্যে ব্যাপক ইট ও পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। বিধায়কের বাড়ির নিরীহ নিরাপত্তা কর্মীকেও তারা বেধড়ক মারধর করে। বিধায়কের বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করে এবং তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। হিংসার খবর পেয়ে ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উশৃঙ্খল জনতা তাদের উপরেও ইট ও পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। আরও অভিযোগ যে, বিক্ষুব্ধ জনতা ডিজে হাল্লি থানায় চড়াও হয়ে থানায় ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং থানার আশেপাশে অনেক গাড়িতে তারা আগুন লাগিয়ে ভষ্মীভূত করে দেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরাও আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি।    

জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে, তারপর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। তাতেও উন্মত্ত  জনতা ছত্রভঙ্গ না হলে পুলিশ গুলি চালায়, এ কথা জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে ষাট জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পন্ত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে ২০০/২৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফেসবুকে পোস্ট করে মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে বলে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি অঞ্চলে কারফিউ এবং ব্যাঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হিংসাত্মক ঘটনাটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে গণতন্ত্রের ‘লেবাস’ পরা মুসলিম রাজনৈতিক দল এসডিপিআইও (Social Democratic Party of India)। এটা স্পষ্ট হয়েছে কারণ ধৃতদের মধ্যে মুজামিল পাশা নামে ওই দলের একজন নেতাও রয়েছেন। এ কথা জানিয়েছেন ঐ দলেরই নেতা মুজাহিদ পাশা।

সারা বিশ্ব জুড়েই মুসলিমদের মধ্যে একটা বিশেষ প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা হল– তাদের মধ্যে সহনশীলতার প্রচণ্ড অভাব। এক্ষেত্রে জঙ্গি মুসলমান এবং অজঙ্গি মুসলমানদের মধ্যে কোনও পার্থক্য চোখে পড়ে না। ইসলামের সামান্য সমালোচনাও তারা শুনতে চায় না। বিশ্বের যে প্রান্তেই তা হোক না, মুসলিমরা বিশ্বজুড়েই তার প্রতিবাদে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। ভাঙচুর, লুটপাট, হত্যা ইত্যাদি হিংসাত্মক কাজের মাধ্যমে তারা সমালোচনার জবাব দেয়। এক্ষেত্রে স্মরণ করা যেতে পারে ফ্রান্সের শার্লি এবদো (কার্টুন পত্রিকা) অফিসে মুসলিম জঙ্গিদের ভয়ঙ্কর হামলার কথা।

ফেসবুকে ঠিক কী লেখা হয়েছে সেটা জানা যায় নি। সেটা জানার বিশেষ দরকারও নেই। কারণ, ভারত  একটি গণতান্ত্রিক দেশ, এ দেশে বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান স্বীকৃত যদিও তা বহুলাংশেই খণ্ডিত। তাই এখানে কেউই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না, সে অধিকার সংবিধান কাউকে দেয়নি। তাই ফেসবুকের কোনও পোস্ট যদি কোনও সম্প্রদায়ের কাছে আপত্তিকর মনে হয় তবে তার প্রতিবাদ করার অধিকার তাদের নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু সেটা করতে হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। ফেসবুকের পোস্ট কিংবা অন্য মিডিয়ায় কোনও লেখা বা মন্তব্য যদি দেশের আইন লঙ্ঘন করে তবে তার বিচার করার ভার আদালতের, কোনও ব্যক্তির বা সম্প্রদায়ের নয়। এরূপ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে লেখার মাধ্যমেই প্রতিবাদ করা। অথবা মিছিল, মিটিং, ধরনা ইত্যাদির মাধ্যমেও সরকারের কাছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করা। যদি সরকারের উপর ভরসা না থাকে তবে আদালতে গিয়ে বিচার চাইতে হবে। ভারতের মতন গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিবাদের নামে আইন হাত তুলে নেওয়া কিংবা হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক প্রতিবাদ কখনই সমর্থন করা যায় না। কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায় যদি তা করে তবে তা হবে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।     

তাছাড়া আরও দুটো বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন – ১) কেউ যদি অপরাধ করে তবে তার দায় শুধু তারই, তার কোনও আত্মীয়ের নয়। অথচ উশৃঙ্খল জনতা যে অভিযুক্ত তার মামার বাড়ি ভাঙচুর করল। মামাকে দায়ী করা কেন? এটা চরম নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কর্তব্যরত সাংবাদিকদের উপরেও হামলা হল। পুলিশ গিয়েছিল হিংস্র জনতার তাণ্ডবের হাত থেকে বিধায়কের বাড়ি এবং তাঁর পরিবারের লোকজনদের রক্ষা করতে। কিন্তু তাদের ওপরেও হামলা সংগঠিত করা হল। এটা কি মগের মুলুক নাকি? এসব গুণ্ডামি কি গণতন্ত্রে মানা যায়? ২) অভিযুক্ত বলেছে, ঐ পোস্টটি সে করেনি। তার ফেসবুক এ্যাকাউণ্ট হ্যাক করে অন্য কেউ ওটা পোস্ট করেছে। সে সত্যি না মিথ্যা বলছে তার তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত না করেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। আত্মরক্ষা করার অধিকার সংবিধানে স্বীকৃত। সে সুযোগ তারও প্রাপ্য। এটা গণতান্ত্রিক আইন ও রীতি যা সকলকেই মানতে হবে।

কলমের জবাব কলমে দেওয়া বাঞ্ছনীয়, হিংসায় নয়  

সারা বিশ্ব জুড়েই মুসলিমদের মধ্যে একটা বিশেষ প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা হল– তাদের মধ্যে সহনশীলতার প্রচণ্ড অভাব। এক্ষেত্রে জঙ্গি মুসলমান এবং অজঙ্গি মুসলমানদের মধ্যে কোনও পার্থক্য চোখে পড়ে না। ইসলামের সামান্য সমালোচনাও তারা শুনতে চায় না। বিশ্বের যে প্রান্তেই তা হোক না, মুসলিমরা বিশ্বজুড়েই তার প্রতিবাদে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। ভাঙচুর, লুটপাট, হত্যা ইত্যাদি হিংসাত্মক কাজের মাধ্যমে তারা সমালোচনার জবাব দেয়। এক্ষেত্রে স্মরণ করা যেতে পারে ফ্রান্সের শার্লি এবদো (কার্টুন পত্রিকা) অফিসে মুসলিম জঙ্গিদের ভয়ঙ্কর হামলার কথা। ইসলামের নবীর একটা কার্টুন আঁকার জন্যে ঐ পত্রিকার কয়েকজন কার্টুনিস্টকে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। নবীর কার্টুন আঁকার জন্যে আমরা কলকাতার রাস্তাতেও মুসলিমদের তাণ্ডব করতে দেখেছি। সার্টানিক ভার্সেস লেখার জন্যে সলমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনি। সেই ফতোয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল তামাম বিশ্বের মুসলিম সমাজ। তখন তাদের মধ্যে শিয়া-সুন্নির প্রভেদ মুছে গিয়েছিল। তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ঘটনা ঘটতে আমরা দেখেছি। এ প্রসঙ্গে একটি অতি তুচ্ছ সমালোচনার চরম শাস্তির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই। সালটা সম্ভবত ২০০৫। কলকাতার শহরতলীর একটি হাই মাদ্রাসার শিক্ষক একটি ঈদ সংখ্যার পত্রিকায় একটা নিবন্ধে দু’টো প্রশ্ন রেখেছিলেন। তার একটি হল, একই বিষয়ে বিজ্ঞান ও কোরান ভিন্ন কথা বললে কোনটা গ্রহণ করব? মুসলমানদের দাবি হল তাদের নবী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন রেখেছিলেন, নবী তাঁর যুগের শ্রেষ্ঠ মানুষ হতে পারেন, কিন্তু তাঁকে কি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব বলা যায়? এই দু’টি মামুলি প্রশ্ন তোলার জন্যে মুফতিরা তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিয়েছিল। সেই ফতোয়া কার্যকর করার জন্যে মুসলিমরা দল বেঁধে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। এটাই হচ্ছে মুসলিম সংস্কৃতি।

এই সংস্কৃতির ধারক ও বাহক শুধু মোল্লা-মুফতিরাই নয়, বহন করে চলেছে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মুসলিম সমাজও। ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কিংবা নবীর সমালোচনা হলেই, আর তা পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক না কেন, তার প্রতিবাদে যে মুসলিমরা রাস্তায় নেমে হিংসাত্মক আচরণ করে তার পুরোভাগে থাকে উচ্চ শিক্ষিত মুসলিমরাও। মুসলিমরা বহুদিন থেকেই মাদ্রাসার শিক্ষার বদলে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। এটা আধুনিক যুগের ভাবাদর্শের দিক থেকে তারা কিন্তু করছে না। ইসলামের আদর্শকে বুকে নিয়েই মুসলিমরা তাদের সন্তানদের কেরিয়ার তৈরি করার জন্যেই মাদ্রাসা শিক্ষার বদলে আধুনিক শিক্ষার স্কুলে পাঠায়। বাড়িতে চালু থাকে মুসলিম সংস্কৃতির চর্চা। ফলে মুসলিম সন্তানরা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে আধুনিক শিক্ষা অর্জন করলেও আধুনিক যুগের উন্নত আদর্শ ও সংস্কৃতির শিক্ষা অর্জন করতে পারে না। ইসলামের ধর্মগ্রন্থে ভিন্ন ধর্মের নবী, দেব-দেবী ও মানুষদের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা রয়েছে। মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে সে সমালোচনা করার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু তারাই আবার এ মত পোষণ করে যে, তাদের ধর্ম ও নবীর বিরুদ্ধে কারও সমালোচনা করার অধিকার নেই। এটাই মুসলিম সংস্কৃতি। সেই ভ্রান্ত সংস্কৃতির কারণেই মুসলিমরা ব্যাঙ্গালুরুতে হিংস্র হয়ে ওঠে।

অন্যদের সমালোচনা করব, কিন্তু কারও সমালোচনা শুনব না– এটা মধ্যযুগীয় সংস্কৃতি। গণতন্ত্রের যুগে সেই সংস্কৃতি আঁকড়ে থাকা চলে না– এ কথা বুঝতে হবে মুসলিম সমাজকে। তাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে। ইসলামের সমালোচনার জবাব অস্ত্র ও হিংসা দিয়ে নয়, দিতে হবে কলমের সাহায্যে। এটাই এ যুগের বৈশিষ্ট তা তাদের বুঝতে হবে। সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা স্থাপনের জন্যে এটা সবাইকে মানতেও হবে, মানতে হবে মুসলিম সমাজকেও।   

এটা গভীর দুঃখজনক ঘটনা যে মুসলিম সমাজ আজও মধ্যযুগীয় অন্ধকারে বুঁদ হয়ে রয়েছে। এই জমাট বাঁধা অন্ধকারের মধ্যেও আলোর একটু ক্ষীণ আলো দেখালেন ব্যাঙ্গালুরুর কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী বি জেড জামির খান। তিনি ক্ষুব্ধ মুসলিম জনতার হিংসাত্মক কার্যকলাপকে আড়াল করেননি। এমনকি পুলিশের গুলি চালনারও নিন্দা করেননি। উল্টে যারা হিংসাত্মক আচরণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন এবং মুসলিমদের শান্ত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন।        

মেকি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক নেতা এবং বিদ্বজ্জনদের নেতিবাচক ভূমিকা  

ভারতবর্ষে গণতন্ত্রের সূচনা হয়েছে ১৯৪৭ সালে। তিয়াত্তর/চুয়াত্তর বছর ধরে সেই গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলন হচ্ছে। কিন্তু খুবই উদ্বেগের বিষয় হল মুসলিম সমাজকে সেভাবে সেই চর্চা ও অনুশীলনে আজও সামিল হতে তেমন দেখা যাচ্ছে না। এর জন্যে নিশ্চয়ই প্রধানত মুসলিম সমাজই দায়ী। কিন্তু এর দায় কি শুধু তাদেরই নয়। দায় বর্তায় গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির উপরেও। দায় বর্তায় সেই বুদ্ধিজীবী ও বিদ্বজ্জনদেরও যাঁরা নিজেরা গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী বলে দাবি করেন। হ্যাঁ, অবশ্যই তাঁদের উপর দায় বর্তায়। কারণ, মুসলিমরা যখনই তাদের ধর্মের সমালোচনায় কাতর হয়ে উন্মত্ত ও হিংস্র হয়ে ওঠে তখন তার সমালোচনা করা থেকে রাজনৈতিক দলগুলি এবং বুদ্ধিজীবী ও বিদ্বজ্জনরা সবসময় বিরত থাকেন। সরকারের পক্ষ থেকে হিংসাশ্রয়ী জনতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না, বরং তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়। প্রশ্রয় দেয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ও বুদ্ধিজীবী সমাজও। হিংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা না করে বলেন যে, বাক-স্বাধীনতার নামে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া মানা যায় না। সরকার, বিরোধী দল ও বুদ্ধিজীবী সমাজের নিরন্তর এরূপ প্রশ্রয়ও মুসলিমদের অসহিষ্ণু থেকে যাওয়ার জন্যে বহুলাংশেই দায়ী।

বিজেপি সরকারের নেতিবাচক ভূমিকা

আমি পুলিশের গুলি চালানোর সমালোচনা করছি না, বরং তাকে সমর্থনই করছি। কিন্তু কর্নাটকের বিজেপি সরকার জানিয়েছে যে, যারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এই পদক্ষেপ প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে উদ্ভূত। গণতন্ত্রে এর স্থান হতে পারে না। এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করা উচিত।