গত শনিবার বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন, রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের সঙ্গে রাজ্যের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাঁর হাতে এসেছে। তাঁর দাবি, ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে যে কথোপকথন হয়েছে, তাতে ‘টিএমসি গুনস’, ‘ট্রাবল মঙ্গার’ বলে তৃণমূল কর্মীদের বলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের ভোটর আগের দিন থেকেই পুলিশ থানায় আটকে রাখে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কমিশন ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে আমাদের দলের নেতাদের নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করে নিতে। আমার কাছে সব কিছুর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আছে। আমার কাছে যা প্রমাণ আছে, আমি ঠিক করেছি, নির্বাচনের পরে সুপ্রিম কোর্টে আমি যাব।’’

রবিবার প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ‘তৃণমূলের গুন্ডা’দের গ্রেফতারি নিয়ে কমিশনের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ তুলেছেন, তা ঠিক নয়। কমিশন এ ধরনের কোনও নির্দেশ দেয়নি বলেই দাবি করা হয়েছে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। কমিশনের তরফে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করানোর লক্ষ্যে এবং অশান্তি রুখতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে গ্রফতার বা কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত যাবতীয় তালিকা এবং তথ্যপ্রমাণ কমিশনের হাতে রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে।