বাম-কংগ্রেস ছাত্র, যুবদের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় ধর্মতলা চত্বর। ছাত্র, যুবদের মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে, লাঠি চার্জ করে।

ছাত্র, যুবদের উপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বামনেতৃত্ব। সকলকে এই বনধকে সমর্থন জানাতে আহ্বান জানিয়েছে বাম নেতৃত্ব।

বেকারত্ব, দুর্নীতি, নয়া শিল্প স্থাপন-সহ একাধিক ইস্যুতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ও কংগ্রেসের ১০টি ছাত্র ও যুব সংগঠন। বেশ কিছুদিন ধরে তারা এই কর্মসূচি নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিল। এদিন কলেজ স্ট্রিট থেকে মৌলালি হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে মিছিল পৌঁছয় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। এখানে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে মিছিল আটকায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-যুবরা ব্যারিকেড টোপকে এগোতে চাইলে পুলিশ প্রথমে জল কামান চালায়, পরে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। পুলিশ কর্মীদের সাথে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে আন্দোলনকারীরা। এরপর লাঠি চার্জ শুরু করে পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের লাঠির ঘায়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন বহু আন্দোলনকারী। শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বাম নেতৃত্ব জানিয়েছে এদিন তাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে ২৫-৩০ হাজার ছাত্র, যুব অংশ নিয়েছিলেন। পুলিশ বিনা প্ররোচনায় তাঁদের ওপর বর্বরোচিতভাবে লাঠি চালায়।

রাজনৈতিক মহলের মতে নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেস তাদের শক্তি পরিক্ষায় নেমেছে। এবারের নির্বাচনে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে যখন প্রচারের সব আলো, তখন নিজেদের গুরুত্বের জানান দিতে এবং নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে নবান্ন অভিযান একটি রাজনৈতিক কৌশল। শুক্রবারের বনধও সেই কৌশলেরই অঙ্গ। নির্বাচনের আগে বামেরা আসলে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নিতে চাইছে।  

ছবি -সৌজন্যে ফেসবুক।