আগস্ট মাসের ভরা বর্ষা। কলকাতা মাঝে মাঝেই ঢুবে যাচ্ছে জলের তলায়। তারই মাঝে আমি চেপে পড়লাম ইস্পাত এক্সপ্রেসে। গন্তব্য –
বাঘিনী ও বাইসনের এক টাকার(চৌবাচ্চা) দুধারে বসে জলপানের ছবিটা স্যাঞ্চুয়ারী পত্রিকায় দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ২০০১ সালে গিয়েছিলাম ‘নাগজিরা’
হাওড়া স্টেশান ধরে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে প্রাণপন ছুটছি। এখনও ট্রেনটা দাঁড়িয়ে আছে। দুটো ঠেলার ওপর দিয়ে লাফিয়ে, চারটে লোককে
‘সিল্ক রুট’ যাওয়ার প্রস্তাব শুনে এক কথায় রাজী হয়ে গেলাম। বিশেষ করে ভ্রমনসঙ্গী যেখানে জয়দেব গোস্বামী, কাজল, তপন, সুপ্তি ও
গাড়োয়ালের গোপনপুরে মধ্যমহেশ্বর বা মদমহেশ্বরের অবস্থান। পঞ্চকেদারের দ্বিতীয় কেদার এটি। মহাভারত বলছে, মহিষরূপী মহাদেবকে পেছনের দিক থেকে জাপটে ধরেন মধ্যম
হঠাৎ’ ই তিন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম যে কাছে পিঠে কোথাও দু’দিনের জন্য ডুব মারবো। সেই মতো এক বৃষ্টি ভেজা
মেঘমালা। প্রায় ৩৬ হাজার ফুট ওপরে মেঘের সমুদ্রে ভেসে চলেছি। অনেক নিচে তুষারাবৃত পাহাড়, পাহাড়ি নকসিকাঁথা পথ, এঁকেবেঁকে চলে যাওয়া
একঘেঁয়ে জীবনের মধ্যে হাতে সময় মাত্র দু’দিন। শহরের ইঁট-কাঠ-জঙ্গলের বেড়াজাল থেকে বেরনোর জন্য প্রাণ ছটফট করছে। কাছে পিঠে এমন কোনও