বিজেপি’র প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ, বিক্ষোভের খবর আসতে শুরু করে। হেস্টিংসে বিজেপি’র নির্বাচনী কার্যালয়েও এসে বিক্ষোভ দেখায় দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। হুগলিতে বিক্ষোভ দেখান দলীয় কর্মীরা। সিঙ্গুরে প্রার্থী বদলের দাবিতে অনশনে বসেন বিজেপির’ই কর্মী, সমর্থকরা। জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহারে প্রার্থী নিয়ে বিজেপি কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখায়, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়, অগ্নিসংযোগ ঘটায়। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা দফায় দফায় এই বিষয়ে বৈঠক করেন বিজেপি’র রাজ্য নেতৃত্ব নিয়ে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন তাহলে বিজেপি কি শেষ মুহূর্তে ব্যাকফুটে চলে গেল?
মঙ্গলবার রাজ্যে প্রচারে এসে অমিত শাহ রাজ্যবাসীকে শুনিয়ে গেলেন এই বিষয়টি নিয়ে খুব একটা চিন্তা তারা করছেন না। বিষয়টি তাঁরা সামলে নেবেন। এদিন মেদিনীপুরে রোড-শো’র ফাঁকে অমিত শাহ সাংবাদিকদের জানান, ‘‘কোথাও কোনও ক্ষোভ থাকলে সামলে নেব।’’
এদিন মেদিনীপুরের জনসভায় অমিত শাহ ফের আরেকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। বিজেপি জেতার পর বাংলার কোনও ‘ভূমিপুত্র’ই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় একটি জনসভা করেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ভয় পাবেন না। কোনও গুন্ডার হিম্মত হবে না মানুষকে রোখার। নির্ভয়ে ভোট দিন। গ্যারান্টি দিচ্ছি, কোনও গুন্ডা কারও গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাবে না।’’ গোসাবা থেকে দুপুর ২টো নাগাদ হেলিকপ্টারে করে মেদিনীপুর শহরে পৌঁছন তিনি। বিকেল ৩টের পরে রোড শো করে জনসভায় যান তিনি।