জল্পনা চলছিল বেশ কিছু ধরেই। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বেশ কিছুদিন যাবৎ নানাভাবে দলের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছিলেন। শেষ প্রর্যন্ত প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দল বিরোধী মন্তব্যর জন্য প্রবীরবাবুকে ‘শো-কজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন উত্তরপাড়ার এই বিধায়ক। তাঁর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। তারা তাঁকে ‘গদ্দার’ বলে কটাক্ষ করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রবীরবাবুকে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছে তৃণমূলের কোর কমিটি ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের পদ তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন, তবে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তিনি এই মুহূর্তে বিধায়কের পদ ছাড়ছেন না। এদিন তিনি আরেক বিদ্রোহী প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলেন, তিনি স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন একজন মন্ত্রী ছিলেন। তিনিও থাকতে পারলেন না। আসলে দলে থাকার মতো পরিবেশ নেই।

পুরশুড়ায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা চলছিল। তাহলে কি তিনিও পদত্যাগ করছেন? এদিন তিনি জানান তাঁকে ওই জনসভায় উপস্থিত থাকার জন্য কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি আরও বলেন, এর আগে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধনেও তাঁকে ডাকা হয়নি। শুধু সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছিল।

কয়েকদিন আগে প্রবীরবাবু অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দলের একাংশ ষড়যন্ত্র করছে এবং তাঁকে নির্বাচনে হারানোর চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কয়েকদিন আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে শুভেন্দু অধিকারীদের মতো প্রবীরবাবুরও বিজেপিতে যোগ দেওয়া এখন কেবলই সময়ের অপেক্ষা। যদিও তিনি নিজে এই প্রসঙ্গে কোথাও এখনও মুখ খোলেননি।